মেসেঞ্জারে কেউ জরুরি টাকা চাইছে?
ফেসবুকে কেউ জরুরি টাকা চাইলে সতর্ক থাকুন।
ফেসবুকে বা মেসেঞ্জারে আপনার ঘনিষ্ঠ কেউ বা বন্ধু কি জরুরি টাকা চাইছে? তাঁকে টাকা পাঠানোর আগে সতর্ক থাকুন। টাকা পাঠানোর আগে ফোন করে নিশ্চিত হয়ে নিন, আপনার বন্ধুর অ্যাকাউন্ট হ্যাক হয়েছে কি না। সাইবার দুর্বৃত্তরা ফেসবুকে প্রতারণার জাল পেতে রেখেছে। অ্যাকাউন্ট হ্যাক করে ঘনিষ্ঠজনের ছদ্মবেশে টাকা চাইছে। সম্প্রতি এ ধরনের প্রতারণার হার বেড়ে গেছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যদি কখনো পরিচিতজনের কাছ থেকে মেসেঞ্জারে অর্থ পাঠানোর অনুরোধ বা বার্তা দেখতে পান, তবে তা সন্দেহের চোখে দেখুন। ওই অ্যাকাউন্ট থেকে আপনাকে বিশ্বাস করানোর জন্য নানা চেষ্টা করা হতে পারে।
যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগোর ম্যারিঅ্যান ব্লিস নামের একজন ভুক্তভোগী বলেন, ‘আমি তাঁর কথা শুনে তাঁকে সাহায্য করার চেষ্টা করছিলাম। এটা প্রতারক চক্র ছিল।’
সেখানকার পুলিশের ভাষ্য, ফেসবুক মেসেঞ্জার ব্যবহার করে ব্লিসকে বোকা বানানো হয়েছে। বন্ধুর পরিচয় দিয়ে তাঁর থেকে তিন হাজার মার্কিন ডলার নিয়ে গেছে প্রতারকেরা।
ব্লিস বলেন, কেউ তাঁর বন্ধুর অ্যাকাউন্ট হ্যাক করে। কিন্তু তিনি ধরতে পারেননি। ভেবেছিলেন বন্ধুদের কেউ হয়তো বিপদে জরুরি অর্থ চাইছে। পরে কৌশলে তাঁর কাছ থেকেও অ্যাকাউন্ট-সংক্রান্ত তথ্য নিয়ে নেয়। তিনি ভেবেছিলেন, অর্থ নিয়ে হৃদ্রোগে আক্রান্ত কাউকে জরুরি চিকিৎসায় কাজে লাগানো হবে। পরে খোঁজখবর নিয়ে জানতে পারেন, তাঁর বন্ধু এ সম্পর্কে কিছুই জানেন না। পুলিশ অবশ্য ওই প্রতারকদের ধরতে চেষ্টা চালানোর কথা বলেছে।
বিশেষজ্ঞরা বলেন, অনেকেই ফেসবুক মেসেঞ্জারে আলাপের সময় কার সঙ্গে কথা বলছেন তা বুঝতে পারেন না। অনেক ক্ষেত্রে হ্যাক হওয়া অ্যাকাউন্ট থেকে দুর্বৃত্তরাও ছদ্মবেশে কথা বলতে পারে। অনেক সময় দুর্বৃত্তরা ফেসবুক অ্যাকাউন্ট নিরাপদ রাখতে ই-মেইলে ভুয়া লিংক পাঠিয়ে পাসওয়ার্ড পরিবর্তন করতে বলে। পাসওয়ার্ড হাতিয়ে নিয়ে অন্য বন্ধুদের কাছে কৌশলে অর্থ চাইতে থাকে।
ফেসবুক কর্তৃপক্ষ বলছে, এ ধরনের প্রতারণা ঠেকাতে তাদের নির্দিষ্ট টিম আছে। ফেসবুকের অভিজ্ঞতা উন্নত করতে এ খাতে ক্রমেই উন্নতি করে যাচ্ছে তারা। ব্লিস ফেসবুকের কাছে নিরাপত্তা বাড়াতে অনুরোধ করেছেন। ফেসবুকের কাছে প্রতারণা নিয়ে অভিযোগ করেছেন।
বর্তমানে এ ধরনের স্ক্যাম বা প্রতারণা বাড়ছে। প্রতারণা থেকে সুরক্ষা পেতে পরামর্শ:
এ ধরনের প্রতারণা ঠেকাতে ফেসবুকে ‘টু ফ্যাক্টর অথেনটিকেশন’ যোগ করা যেতে পারে, যা অ্যাকাউন্ট হাতিয়ে নেওয়ার বিষয়টি কঠিন করে তুলবে। ফেসবুকে এ সুবিধা থাকলেও তা ডিফল্ট আকারে নেই। ম্যানুয়ালি ঠিক করে নিতে হবে।
যাঁদের কোনো অ্যাকাউন্ট নিয়ে সন্দেহ হবে, তাঁরা অবশ্যই ফেসবুককে অভিযোগ জানাবেন। কখনো নিশ্চিত না হয়ে অর্থ পাঠাবেন না।
ফেসবুকের কোনো পোস্ট বা বার্তা যদি কৌশলে ব্যক্তিগত তথ্য সংগ্রহ করার চেষ্টা করে বা অর্থ চায় তবে
https://www.facebook.com/help/reportlinks এ লিংকে অভিযোগ করা যাবে।
যাঁদের অ্যাকাউন্ট হ্যাক হবে তাঁরা যাবেন এ লিংকে facebook.com/hacked
ফেসবুক অ্যাকাউন্টের নিরাপত্তা পরীক্ষা করতে যেতে পারেন https://newsroom.fb.com/news/
2015/07/enhancing-security-with-a-quick-checkup/
ফেসবুকের সেটিংস পরীক্ষা করতে যেতে পারেন facebook.com/settings
তথ্যসূত্র: এবিসি নিউজ।
0 comments:
Post a Comment